অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, ইসলামি বিপ্লবের উদ্দেশ্য ছিল ইরানকে পাশ্চাত্যের গ্রাস থেকে বের করে আনা। পশ্চিমাদের ভুল সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক ও সামরিক আধিপত্যে পিষ্ট ইরানকে মুক্ত ও স্বাধীন করে ঐতিহাসিক ইসলামি পরিচিতিকে ফিরিয়ে আনার জন্য বিপ্লব করা হয়েছে। কোম প্রদেশ থেকে আগত একদল মানুষের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি আজ (সোমবার) এসব কথা বলেন। কোমে ১৯৭৮ সালের ৯ জানুয়ারির গণঅভ্যুত্থানের বার্ষিকী উপলক্ষে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আরও বলেছেন, পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধের সময়ের মতো তরুণদের সক্রিয় থাকার ফল হচ্ছে নিশ্চিত বিজয়। অর্থাৎ বিশ্বের সব শক্তি সে সময় ইরানকে খণ্ড-বিখণ্ড করতে হাতে হাত মিলিয়েছিল। কিন্তু তারা এক বিঘৎ ভূখণ্ডও নিতে পারেনি। এটা কি ছোট বিষয়? এটা কি খুব ছোট বিজয়?
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইরানে সাম্প্রতিক সহিংসতায় শত্রুদের প্রোপাগান্ডা বিভাগ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য তৎপরতা চালিয়েছে। শত্রুদের গণমাধ্যম এটা তুলে ধরতে চেয়েছিল যে, সহিংসতাকামীরা দেশ দুর্বল হোক এটা চায় না। এটা ঠিক যে, দেশে অর্থনৈতিক সমস্যা রয়েছে। কিন্তু ডাস্টবিনে আগুন দিয়ে এবং রাস্তায় সহিংসতা চালিয়ে কি এর সমাধান হবে?
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আরও বলেন, শত্রুদের নানা চক্রান্তে প্রোপাগান্ডা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। প্রোপাগান্ডা মোকাবেলার উপায় হচ্ছে সত্য ও বাস্তবতা তুলে ধরা। যেসব প্রলোভন যুবক-যুবতী ও কিশোর-কিশোরীদের প্রভাবিত করছে সেগুলোকে কিসের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা যায়? লাঠি দিয়েতো হবে না। কিন্তু এসব প্রলোভনের প্রভাব নিষ্ক্রিয় করা যাবে সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরার মাধ্যমে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, কেউ কেউ বলেন আপনারা কেন আমেরিকাকে শত্রু বানাচ্ছেন! কিন্তু আমরা কি তাদেরকে শত্রু বানাচ্ছি?! ৪০ বছর ধরে তারা আমাদের রক্তের জন্য তৃষ্ণার্ত। কিন্তু আমরা তাদের শত্রুতা মোকাবেলা করে যাচ্ছি।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেীয় আরও বলেছেন, সদ্য-প্রকাশিত একটি ডকুমেন্ট আমার কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বরে কার্টার ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পতন ঘটাতে সিআইএ-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন। অর্থাৎ বিপ্লবের প্রথম থেকেই এটাই ছিল তাদের পরিকল্পনা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো কী উপায়ে পতন ঘটাতে হবে সেটাও তাতে উল্লেখ করা হয়েছে। এটা হলো প্রোপাগান্ডা।
Leave a Reply